জাতীয়

সালাম মুর্শেদীর বাড়ির সব নথি দাখিলের নির্দেশ

খুলনা-৪ আসনের সংসদ-সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে জালিয়াতির তথ্য ওঠে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা প্রতিবেদনের বরাতে এ কথা জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে-এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। এই বাড়ি নিয়ে মামলা হয়েছে, তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় আছে।

কয়েক দফা সময় নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন। কিন্তু প্রতিবেদনের সঙ্গে বাড়িসংক্রান্ত যাবতীয় নথিও চেয়েছেন আদালত।

খুরশীদ আলম বলেন, আদালত বলেছেন-বাড়িটির চেইন অব টাইটেল (মালিকানা পরম্পরার তথ্য) আমাদের দেখাতে হবে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এসংক্রান্ত যাবতীয় নথি দুদককে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম।

সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বলে অভিযোগ করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট আবেদন করেন আইনজীবী সুমন। বাড়িটি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ জানুয়ারি দাখিল করতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। তবে সেদিন প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ রাখা হয়েছিল।

রিট আবেদনের পরদিন সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), গণপূর্ত বিভাগ ও মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাড়ি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাড়িটি নিয়ে রাজউকের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। পরিত্যক্ত ওই বাড়ির নকশাও (মূল লে আউট প্ল্যান) আদালতে জমা দেয় রাজউক।

 

Leave a Reply