চারঘাটে ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক
চারঘাট প্রতিনিধি, রাজশাহী
রাজশাহী কৃষি অঞ্চলে ধানের জমিতে ব্যাপক পরিমাণ ফলের উৎপাদন বেড়েছে। লাভজনক অর্থকরী আবাদ হিসেবে ধানের পরির্বতে ফলের বাগান গড়ে তোলার প্রবণতা ছিল। এতে কমছে ধানের আবাদি জমি। তবে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী শক্তিতে এ অঞ্চলে ধানের জমি কিছুটা কমলেও উৎপাদন তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে। উপজেলার সরদহ ও নিমপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, শত শত হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। এ বছর চারঘাটে হাইব্রিড ও উফসী জাত মিলিয়ে ৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। হাইব্রিড (১৮ হেক্টর ও উফসী-৪ হাজার ৯৩২ হেক্টর)। যা আগের বছরের তুলনায় বেশি গত বছর ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ চাষ হয়েছিল।
এজাতগুলো ব্রিধান-৯৫-১৩২ হেক্টর, ৯৩-২৪৫ হেক্টর, ৮৭-১ হাজার ৩৪৫ হেক্টর, ৭৫-৭৫০ হেক্টর, ৭১-২৯৮ হেক্টরসহ ব্রিহ্ইাব্রিড ধান-৪-৮ হেক্টর, ৬-৮ হেক্টর জমিতে এই চাষ করা হয়। এই পর্যন্ত ৭৪৩ হেক্টর জমির শস্য কর্তন হয়েছে। যার গড় ফলন ৫ দশমিক ৪২ মেট্টিক টন ধান ও ৩৫৮ মেট্টিক টন চাল।
কৃষি অফিসারের উপস্থিতিতে সরদহ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিকরা গ্রামের কৃষক তোয়াজ উদ্দিন তিন বিঘা ও নন্দনগাছি কৃষক আব্দুল কাদের প্রায় সাড়ে তিন বিঘায় জমিতে ব্রিধান ৯৫ ও ৮৭ নমুনা শস্য কর্তন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সরদহ ইউপির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) রায়হান আলী, পৌরসভার (এসএএও) আমিরুল ইসলাম ও চারঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
নিমপাড়া ইউপির কৃষক আব্দুল কাদের জানান, সার, বীজ ও কীটনাশক দাম না বাড়লে চাষীরা আরও লাভবান হতো। তারপরও ধানরে ভালো দাম পাওয়ায় এতে কৃষকরা খুশি।
উপজেলা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, ৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছে। কৃষকরা আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে এবার ফলন বেশি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে এবং তারা আগ্রহী হয়ে উঠেছে এ ফলনে।
অগ্নিবাণী/এফএ