রাজশাহীতে দোকান খোলার দাবিতে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
রাজশাহী প্রতিনিধি, রাজশাহী
গত তিন দিন ধরে লকডাউন। লকডাউনের কথা শুনে জনসাধারণ তেমন বাইরে বের হচ্ছে না। এতে ভাটা পড়েছে রাজশাহীর বস্ত্র ব্যবসায়ীদের। দোকান খুলে রাখার দাবিতে রাজশাহীর বস্ত্র ব্যবসায়ীরা আজ (বুধবার) বিক্ষোভ করেছেন।
আজ বুধবার (০৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে নগরীর সাহেব বাজারে বিক্ষোভ করেন আরডিএ ও সাহেব বাজারের সকল বস্ত্র মালিক ও কর্মচারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সকাল থেকেই খোলা ছিল সব দোকান। দোকান খোলা দেখে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করতে যান। এতে সকল ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা ঘোষণা দেন, কাউকে জরিমানা করা হলে আন্দোলন জোরদার হবে। ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে পড়ায় ম্যাজিস্ট্রেট কাউকে জরিমানা না করেই চলে যান। ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার পর বস্ত্র ব্যবসায়ীরা দোকান খোলেন।
লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে রাজশাহী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অশোক কুমার বলেন, শহরের আরডিএ মার্কেট, বিনোদপুর, কোর্টবাজারসহ অন্যান্য এলাকার সব দোকানপাট খোলা। তাই আমরাও সকাল থেকে একপাল্লা, দুইপাল্লা তুলে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। একটু পর ম্যাজেস্ট্রট আসেন। তিনি জরিমানা করতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, আমরা তাকে দু:খের বিষয় বুঝিয়ে বললাম- করোনায় আমরাও নাযেহাল। গতবার করোনায় কেউ ব্যবসা করতে পারেনি। এবারও ধার-দেনা করে মাল তুলেছে সবাই। করোনার ভেতর ব্যবসা খারাপ। হঠাৎ লকডাউন আসবে বুঝতেও পারিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা ব্যবসা করতে চাই। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেছেন।
তিনি আরও জানান, ‘অর্ধেক শাটার তুলে ব্যবসা করছি। একে তো ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানার ভয়, অন্যদিকে পুলিশ এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে। আবার বাজারে ক্রেতাও কম। সবমিলিয়ে খুব বিপদে যাচ্ছে দিন।’
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বস্ত্র বিতানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। দুপুর পর্যন্ত আর কেউ তাদের দোকান খোলার ব্যাপারে বাধা দেয়নি। নগরীর আরডিএ মার্কেটেও এ দিন খোলা দেখা গেছে। মঙ্গলবার থেকে নগরীর সবচেয়ে বড় এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকান খুলছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান ও অন্যান্য দোকানপাট বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা ছিল। ঘড়িতে ৪টা বাজার সাথে সাথেই দোকান বন্ধের জন্য পুলিশ মাইকিং শুরু করেন। সেই সাথে রাস্তাঘাটে জনসমাগম না করে সবাইকে যার যার বাসায় ফিরে যেতে বলেন।
এদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজশাহী অনেকটাই স্বাভাবিক লক্ষ্য করা গেছে। শহরের ভেতর রিকশা-অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। সাহেববাজার এলাকায় অন্যান্য দিনের থেকে কিছুটা যানজট ছিল। অল্প সংখ্যক দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। মানুষের চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। তবে বাজারে নিত্য পণ্যের দোকানে ছিল ক্রেতাদের ভীড়।
অগ্নিবাণী/এফএ