ভাসানচরে দ্বিতীয় ধাপে রোহিঙ্গা স্থানান্তর চলতি সপ্তাহেই
অনলাইন ডেস্ক
কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় একটি দলকে চলতি সপ্তাহেই ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় এক হাজার শরণার্থীকে ভাসানচরে নেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪৫ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুর রহমান জানান, রোহিঙ্গাদের আরেকটি দল ভাসানচরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টির নেতৃত্ব দিচ্ছে।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এরই প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে শিশুদের খেলার মাঠ, স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র, দ্বীপে কর্মরত দেশী-বিদেশী সংস্থার লোকজনের জন্য থাকার আলাদা ভবনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
এছাড়া জোয়ার- জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৯ ফুট উঁচু বাঁধ এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের জন্য ভবন ও জেটি নির্মাণ করা হয়েছে ভাসানচরে।
এছাড়া কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য এক বছরের রসদ মজুত করা হবে। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জন্য নানা ধরনের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে দেশী-বিদেশী ২২টি সাহায্য সংস্থাকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ স্থানান্তর বন্ধের দাবি জানিয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা