গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি, আতঙ্ক
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি ত্রাণ নিয়ে নয়ছয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ইউপি চেয়াম্যানের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বজলু সরদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলার ৫ নম্বর ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকেই আটক করেছে পুলিশ। তবে বজলু পক্ষের কেউ আটক হয়নি। এ ঘটনায় বিরাজমান আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ঝাউপাড়া-বিন্যাবাড়ি বাজারে ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন আগে সরকারি ত্রাণ বিতরণ নিয়ে একই ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বজলু সরদার চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে ফেসবুকে কটূক্তি করেন। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান ও বজলু পক্ষের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। সবশেষ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের (৭ নম্বর ওয়ার্ড) ঝাউপাড়া-বিন্যাবাড়ি বাজারে যান। সেখানে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে চেয়ারম্যান ও বজলুর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ও তার গাড়িচালক মতিনের ওপর হামলা চালিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন বজলু ও তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বেলা ১২টার দিকে চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকরা বজলুর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে বজলুর বাড়ির টিনের চালা ও দরজা ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। এ সময় চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ও তার গাড়িচালক মতিনসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় আনা হয়।
চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের ভাতিজা মিল্টন জানান, সরকারি ত্রাণ তালিকার বাইরে চেয়ারম্য্যানের কাছে অতিরিক্ত ত্রাণ দাবি করেন বজলু। কিন্তু ওই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে কুৎসা রটাতে থাকেন বজলু। সবশেষ বুধবার সকালে চেয়ারম্যান বিন্যাবাড়ি বাজারে গেলে বজলু তার লোকবল নিয়ে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।
বজলুকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, ত্রাণ বিতরণের বিষয় নিয়ে বুধবার সকালে চেয়ারম্যান মতিন ও তার চালকের সাথে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের লোকজন বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট করেন। তবে তিনি চেয়াম্যানকে ত্রাণ নিয়ে কোনো অনৈতিক প্রস্তাব দেননি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ডিবি পুলিশের ওসি আনারুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের মধ্যে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাটেরে নেওয়া হয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।