বদলগাছীতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়াম্যানের সংবাদ সম্মেলন

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছীতে উপজেলা পরিষদের কৃষি দ্বিতল ভবন নিলাম ডাক না দিয়ে অবৈধভাবে ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল আলম খাঁন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবু তাহির এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।

বদলগাছী প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদের কৃষি দ্বিতল ভবন সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো নীতিমালা অনুসরণ না করে ভেঙ্গে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয়। তারপরে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলাসহ ভাঙ্গা মালামাল, আসবাবপত্র নিলামে বিক্রি করার তিনি সিদ্ধান্ত নেন। এ সংক্রান্ত একটি রেজুলেশনে গত দুইদিন আগে আমার কাছে স্বাক্ষর নিতে আসলে আমি স্বাক্ষর দেইনি। আমি উপজেলা পরিষদের সভাপতি। অথচ আমিই জানি না ভবনটি কীভাবে ভাঙ্গা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদের দুর্যোগ মোকাবেলা ফাÐ হতে ত্রাণ বিতরণের নামে ৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে যা সবকিছু এককভাবে ব্যয় করেন। এতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। তার বিভিন্ন কাজ কর্মের স্বচ্ছতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া কৃষকের উপস্থিতি ছাড়া আমার সাথে পরামর্শ না করে খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহে কৃষক নির্বাচন লটারী সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম এই তিন জন পরামর্শ করে যা ইচ্ছা তাই করছে। কোনো নীতিমালা প্রয়োজন হয় না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গণপূর্ত মন্ত্রনালয় কর্তৃক একটি মডেল মসজিদ বরাদ্দ হয়েছে। এই মসজিদের জায়গা সংকট। উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে গত ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদ হল রুমে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপজেলা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে এমপির উপস্থিতিতে ভবনটি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় মডেল মসজিদ নির্মাণের স্বার্থে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্বিতল ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়। দ্বিতল ভবন ভাঙ্গা মালামাল হেফাজতে রয়েছে। শীঘ্রই সকল নীতিমালা সম্পন্ন করে তা নিলাম দেওয়া হবে। এতে অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

একই কথা বললেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবু তাহির।

এবিষয়ে সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান যে অভিযোগ তুলেছে তা ঠিক না। যেদিন সাধারণ সভা হয়েছে সেদিন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন, সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ অফিসাররা ছিলেন। যেহেতু পরিত্যক্ত কৃষি দ্বিতল ভবনটি টেÐার পক্রিয়ার জন্য অনুমতি পেতে বিলম্ব হচ্ছে আর এ অবস্থায় মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই ভবনটি আপাতত ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Tweet about this on Twitter
Twitter
Pin on Pinterest
Pinterest

Leave a Reply

Your email address will not be published.