নজরুল কলেজের ছাত্রাবাস এখন মাদকসেবীদের আখড়া
অগ্নিবাণী ডেস্ক
২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজের ছাত্রাবাসের পাকা ভবনটি পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এটি এখন মাদকসেবীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নজরুল কলেজ। পুরনো একমাত্র টিনশেড ছাত্রাবাসটি ভেঙে ২০১৫ সালে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় পাকা ভবন। ভবন পাকা হলেও এটি আলোর মুখ দেখেনি। পড়ে আছে পরিত্যক্ত, অযত্ন আর অবহেলায়।
সরেজমিন দেখা যায়, নির্মাণের পর থেকে পাকা ভবনটি পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। ভবনের পুরো কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৫ সালের পর থেকেই তালাবদ্ধ অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। ভবনের গেট ও তালায় ধরেছে জং। ভবনের দেয়াল ও ছাদে ঝোপঝাড় তৈরি হয়ে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ভবনের চারপাশে ঝোপঝাড় তৈরি হয়ে মাদকসেবী ও কারবারিদের বিচরণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ভবনের পাশে পড়ে আছে নেশা করার দ্রব্যসামগ্রী। মাদকসেবী ও কারবারিদের নিরাপদ বিচরণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এ ছাত্রাবাসটি।
এ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজজীবনের দুটি বছর কেটেছে ওই ছাত্রাবাসে। এখানে আমাদের অনেক বন্ধু ও ছোট ভাইয়েরাও ছিল। হঠাৎ নতুন ভবন হওয়ায় এ ছাত্রাবাসটি বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী আবাসিক সংকটের কারণে শহরে থেকে পড়ালেখা করতে পারে না, অন্তত তাদের জন্য হলেও ছাত্রাবাসটি পুনরায় চালু করা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি নজরুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব রেখা বলেন, ছাত্রাবাসটি আমার কলেজের জন্য খুবই প্রয়োজন। এটি চালু করা গেলে ছাত্ররা উপকৃত হবে। এটি আগে চালু ছিল, ২০১৫ সালে পাকা ভবনের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ শেষ না হওয়ার ফলে ছাত্রাবাসটি বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রাবাস ভবনটি কলেজ এরিয়ার পেছনে। এতে কোনো নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকায় বহিরাগত অনেকেই বসে আড্ডা দেয়। তবে ওই ছাত্রাবাসটি পুনরায় চালু করার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।
অগ্নিবাণী/এফএ